Skip to main content

Posts

সাম্প্রতিক পাপ

ভালবাসা তারপরও দিতে পারে - অর্ণব

কষ্টগুলো শিকড় ছড়িয়ে ঐ ভয়ানক একা চাঁদটার সাথে স্বপ্নের আলোতে যাবো বলে যখন চোখ ভিজে যায় রাতে। ভালবাসা তারপরও দিতে পারে গত বর্ষার সুবাস, বহুদিন আগে তারাদের আলো শূন্য আঁধার আকাশ। প্রখর রোদে পোড়া পিঠ আগুনের কুন্ডে শেঁকা হাত শিশির ছোঁয়ায় পাবে হাসি অন্ধকারে কেটে যাবে রাত। কষ্টগুলো শিকড় ছড়িয়ে ঐ ভয়ানক একা চাঁদটার সাথে স্বপ্নের আলোতে যাবো বলে যখন চোখ ভিজে যায় রাতে। ভালবাসা তারপরও দিতে পারে গত বর্ষার সুবাস, বহুদিন আগে তারাদের আলো শূন্য আঁধার আকাশ।
Recent posts

শিকারীর সাথে একঘরে-রাশেল

"পাখিদের প্রেমের চাইতে তাদের মাংস উপাদেয়" বলতে বলতে শিকারীর কাঁপাকাঁপা হাত স্থির করে দিলেন কবি। এটা এমন হলো, এটা আর কোনভাবেই হতে পারতো না যেহেতু দুটো ডাহুকের খেয়ালই ছিলো না; মানুষ! হয়তো চুমুর প্রস্তুতি অথবা আত্মহত্যার, যাই হোক, মানুষের যেকোন বিরহের চেয়ে বিষণ্ণ প্রেম নিয়ে পালকের কবরে, ওরা মৃদু টোকা দেয়, একে অপরের ঠোঁটে, তাতে শিকারীর মনে পড়ে, ক্যান্সার কারে যেনো নিয়ে গিয়েছিলো চড়ুইয়ের স্যুপ থেকে ওঠায়ে শকুনের কিনারে! স্মৃতি, ঠকঠক নাড়ে কড়া, তাতে কনকন কাঁপে হাত, কবি, বুঝায়ে দেও ওরে সভ্যতার সংঘাত! কবি আসে(নাকি কসাই?), বিব্রত বড়ো, দেখে নাজুক মানসে শিকারী, নেয় অহিংসার পাঠ, আরে নাহ্! এসব বুজরুকি! রক্তে যার বুলেট লেখা, সে কি আর রক্ত দেখে ভয় পাবে নাকি! লক্ষ্য স্থির করো, আকাশের প্রেক্ষাপটে দেখো আমিষের ফুল দুটো ফুটে আছে একেরে জড়ায়ে আরেক, যেনোবা খেয়াল নেই, মানুষ এসেছে! ট্রিগার চাপো, দেখো বাকীরাও কেমন ঝাকঝাক উড়ে চলে যায় রেঞ্জের বাইরে, এরা পালায় এবং প্রেম করে, প্রেম করে এবং পালায় এবং বুলেটের সাথে সংঘর্ষে নিহত হয় অন্তত একজন। কবি, যাও যাও যাও, কান্না থামা

কষ্টের খুজে -তুচ্ছ

অনেক কষ্ট নিয়ে শেষ পর্যন্ত আবার আমি লিখতে বসলাম দূরভাগ্যবশত কোনক্রমেই একটি পংক্তিও আসছে না এই অবাধ্য আত্মায় শেষে উপায় খুজে না পেয়ে একটি বিক্ষিপ্ত শব্দ খুজে পেলাম বৃষ্টির শীতল ঝাট থেকে ঐ দূরের প্রকান্ড দালানের সমাপ্ত না হওয়া ছাদের মরিচা ধরা লোহার পিঞ্জর থেকে আনলাম সুখ পাখিকে ভালবাসাকে আনলাম মায়ের কোল ছিনিয়ে অসীম পথ ধার দিল বিস্তৃত দৃষ্টি ঝরনার উঞ্চ জল আনলাম হরিণীর টলটলে আখি থেকে আস্তে আস্তে একটা একটা শব্দ মিলেয়ে তৈরি করছি অমর কবিতা এক সময় শেষ হয়ে আসলো আমার লেখা একবার চোখ বুলিয়ে নিলাম কোথায় একটা খটকা লাগলো কিসের যেন অভাব সমস্ত কবিতা জুড়ে আকাশের কাছে গেলাম আমাকে সে শুধুই হাতছানি দিয়ে ডাকে গেলাম মহাশূন্যের কাছে আমায় সে দেখায় অসীমতার বিশালতা সূর্যের কাছে যেতেই বলল, আমি নিজেই শীতলতার অভাবে মরছি কেউ দিতে চায় না একটুখানি কষ্ট যা দিয়ে আমি কবিতায় পূর্নতা আনবো শেষে তোমার কথাই মনে পড়ল মনে পড়লো আজ পর্যন্ত অন্তত এই জিনিষটা দিতে তুমি কখনও কার্পন্য করনি

সবুজ রেলগাড়ি -তুচ্ছ

দ্রুতগামী ট্রেনের পাশাপাশি হাটছি ভাব খানা এমন যে করেই হোক আজ একে পিছে ফেলবই যেমনিভাবে তোমরা আমায় ফেলে গেলে এই নিঃসঙ্গ ষ্টেষনে বর্গাকার সব পথ ছেড়ে যাই ঘাসের উঁচু শিশ্ন আমার পায়ে বরাবরের মত বিধে যায় একপথ ছেড়ে আরেক পথের দিকে পা বাড়াই খাপ পেতে বসে থাকে সন্ত্রাসী দল বাদামের খোসা, সিগারেটের পশ্চাদ অংশ এমনকী কনডমের খালি প্যাকেটও আমার পদ দূলিত হয় আমার কানে পৌছায় না নিরিহ পথিকের আর্তনাদ রাস্তার পাশের ল্যাম্পপোষ্ট গুলো হতাশায় যেন অন্ধ হয়ে গেছে গোপন প্রেমের নিষিদ্ধ চুম্বন বেশ্যা নারীর হাতছানি কোনও কিছুই কোনও কিছুই আজ আমায় চঞ্চল করে তুলে না আমি আমার মাথাকে তার অক্ষের উপর এক চক্কর ঘুড়িয়ে আনলাম অনেক চেনার ভিতরে অচেনার লুকোচুরি সন্তানদের প্রতি বাবার ভালোবাসা সব মিলিয়েই কিম্ভুত এক ছবি আমার গন্তব্য ত্যাগ করে যাই কারণ আমায় যে ট্রেনটিকে হারাতেই হবে

কয়েকটি প্রতিচ্ছবি আর আমার নিশ্চুপ অবলোকন -তুচ্ছ

সেদিন হঠাত্‍ আমার মরা বাপকে দেখলাম 'যৌন সমস্যার সমাধান' শিরোনাম লেখা লিফলেট বিতরণ করছে আমি ভয়ে ছিলাম কখন আবার তাকে দেখি বয়সের ভারে ভেঙ্গে পরে বেশ্যা নারীর দালালী করছে আমার যৌবনহারা বৃদ্ধা 'মা' মুখে তার অনবরত অশ্লীল খিস্তি ছুটে যাচ্ছে অবাধ্য খদ্দেরের প্রতি সেই যে নিছক সন্দেহে গণপিটুনিতে মারা গিয়েছিল ছয় দুর্ধর্ষ ডাকাত তাদের একজন আমারই বড় ভাই যে কিনা প্রতিনিয়ত আমায় বেধরক পিটাত শেষ পর্যন্ত কিনা তারই মৃত্যু হল এই পিটুনির আঘাতে এখন শুধুই সেই ক্ষত চিহ্নগুলোয় হাত বুলোই যদি সেই পুরোনো আঘাতের যন্ত্রণা একটু হলেও উপলব্দি করতে পারি আমার বোন তার সাধের প্রেমিকের সাথে ডেট করতে গিয়ে এখন সম্পূর্ণরুপে ডেড নিজের নগ্ন ছবি প্রতিটি যুবকের সেলফোনে আবদ্ধ দেখলে কয়জনই বা নির্লিপ্ত থাকতে পারে তার ডেডবডি আমি নিজ হাতেই ফাস মুক্ত করি আর আমি সেই পুরোনোই রয়ে গেছি বেওয়ারিশ কুত্তার মত রাস্তায় রাস্তায় আজও ঘুরে বেড়াই ডাষ্টবিনের পঁচা বাশি খাবারের মত আমিও খুজে বেড়াই

একজন মহাপাপী এবং আমি -তুচ্ছ

শেষ পর্যন্ত প্রবল বিরক্তি নিয়ে তাকালাম সামনে বসে থাকা কুলাঙ্গারটির দিকে সবসময় শুনে আসা কথা, মানুষ ঈশ্বরের সৃষ্টি যদি তা সত্য হয়ে থাকে তবে নির্ঘাত এই কুলাঙ্গার ঈশ্বরের তৈরি নয় তার চরিত্রের অবয়ব একেএকে আমার সামনে দৃশ্যমান হতে লাগল দেখলাম নোংরামিতে ভরা একটি আত্মা প্রতিনিয়ত যে কিনা পাপ চিন্তায় বিভোর যে সংসারে তার আগমন, তাতে তার কোনো স্থানই নেই কেই বা দেবে এমন কুলাঙ্গারকে ভালবাসার হাতছানি আকাশের দিকে তাকায়ে যে কিনা হাসিমুখে আকাশের বিশালত্বকে ছোট করে দেখে প্রতিটি পীচঢালা পথে যার নোংরা পদরেখা ঈশ্বরকে সে প্রতিমূহুর্তে হিংসা করে সৃষ্টা হতে পারেনি বলে ভালবাসা যার বিধানের অন্তর্ভুক্ত নয় আর দেখার সাহস হল না আমার শেষবারের মত তার দিকে চোখ বুলিয়ে নিতে গেলাম তাতেই যা বিপত্তি ঘটার ঘটে গেল তার আত্মার যে অংশটি এতক্ষণ আমার কাছ থেকে গোপন করে রেখেছিল তা আমার সামনে হঠাত্‍ উন্মোচিত হল আমি দেখতে পেলাম গভীর দুঃখগুলো যেগুলো তার অন্তরে থরে থরে সাজানো যা কিনা সে কারও সামনে প্রদর্শন করতে আগ্রহী নয় পারলাম না আরে

অসমাপ্ত কবিতা -তুচ্ছ

ভুলগুলো একে একে মিথ্যে হয়ে ধরা দিতে লাগল শিশুর মিথ্যে অভিনয়ের মত মনে হয় চিরন্তন সত্যগুলোকে প্রেয়সীর চুলের আলতো ঝাপটা আঘাত করে না ভালবাসার রূপ নিয়ে মনটা আজ ভীষণ রকম একা হারিয়ে ফেলি ভালবাসার আসল সংঙ্গা খুজে পাই শ্রেষ্ট লাইনটি যা দিয়ে কবিতায় পরিপূর্ণতা আনবো আগের মতই নিঃশঙ্গ পংক্তিগুচ্ছ বারেবারে দোলা দিয়ে যায় অশ্লীল আত্মাকে সহায় সম্বলহীন ভবঘুরে এক কবি আমি অনবরত ধার করেই যার আজ এই পরিণতি আজও ধার করে যাই কবিতার লাইন কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয় না সমাপ্ত টানতে পারি না কোনো রকমেই অসমাপ্তই থেকে যায় আমার না লেখা কবিতাগুলো