শেষ পর্যন্ত প্রবল বিরক্তি নিয়ে তাকালাম
সামনে বসে থাকা কুলাঙ্গারটির দিকে
সবসময় শুনে আসা কথা,
মানুষ ঈশ্বরের সৃষ্টি
যদি তা সত্য হয়ে থাকে তবে নির্ঘাত এই কুলাঙ্গার ঈশ্বরের তৈরি নয়
তার চরিত্রের অবয়ব একেএকে আমার সামনে দৃশ্যমান হতে লাগল
দেখলাম নোংরামিতে ভরা একটি আত্মা
প্রতিনিয়ত যে কিনা পাপ চিন্তায় বিভোর
যে সংসারে তার আগমন, তাতে তার কোনো স্থানই নেই
কেই বা দেবে এমন কুলাঙ্গারকে ভালবাসার হাতছানি
আকাশের দিকে তাকায়ে যে কিনা হাসিমুখে
আকাশের বিশালত্বকে ছোট করে দেখে
প্রতিটি পীচঢালা পথে যার নোংরা পদরেখা
ঈশ্বরকে সে প্রতিমূহুর্তে হিংসা করে
সৃষ্টা হতে পারেনি বলে
ভালবাসা যার বিধানের অন্তর্ভুক্ত নয়
আর দেখার সাহস হল না আমার
শেষবারের মত তার দিকে চোখ বুলিয়ে নিতে গেলাম
তাতেই যা বিপত্তি ঘটার ঘটে গেল
তার আত্মার যে অংশটি এতক্ষণ আমার কাছ থেকে গোপন করে রেখেছিল
তা আমার সামনে হঠাত্ উন্মোচিত হল
আমি দেখতে পেলাম গভীর দুঃখগুলো
যেগুলো তার অন্তরে থরে থরে সাজানো
যা কিনা সে কারও সামনে প্রদর্শন করতে আগ্রহী নয়
পারলাম না আরেকটু দেখতে
আমাকে বাধ্য হয়ে চোখ ফিরিয়ে নিতে হল
নিজের প্রতিচ্ছবির দিকে
বেশি সময় তাকিয়ে থাকার মত শক্তি পেলাম না আর
Comments
Post a Comment