Skip to main content

Posts

Showing posts from September, 2011

বৈদেশিক ভালবাসা ২য় পর্ব

ঐ ছাগলা ব্যাটায় শেষ পর্যন্ত আমাকে মোবাইল ফকির কইরা এর পর ছাড়লো। মনে মনে ১০০১ টা গালি দিয়েও শান্তি পাইলাম না। কি আর করা, নিজের পালিত ছাগলকে তো আর ঘাস খাওয়ার দায়ে জেলে ঢুকানো যায় না। এরপর রাতে অনেকক্ষণ বাইরে দুজনে আড্ডা দিলাম। ফেলে আসা দিনের স্মৃতি রোমন্থন করে কিছু মিছি মিছি চোখের জল ত্যাগ করলাম। রাতে আমার প্রিয়তমাকে ফোন দিয়ে জানতে চাইলাম, পরদিন কখন বের হবে। যা উত্তর দিল তাতে আমার কলিজা মাংসপিন্ডে পরিণত হওয়ার মত অবস্থা। তার সাথে নাকী তার এক কাজিনও যাবে। অনেক কষ্ট করে ৫০০ টাকা আম্মুর কাছে রেখেছিলাম যাতে আমাদের স্বর্গ ভ্রমণ কিছুটা হলেও নিশ্চিন্তে কাটে, আর ঐ টাকার পিছনে আগুন ধরাতে এখন আবার এক শালীরও আগমন ঘটছে দেখছি। যাই হোক অনেক করে বুঝাতে চাইলাম তাকে নিয়ে গেলে আমাদের কি কি অসুবিধা হতে পারে। কিন্তু সাধের প্রিয়তমা কিছুতেই বুঝতে চায় না আমার মত একজন নিষ্পাপ ছেলের কাকুতি। সে বের হলে নাকী ঐ কমলা সুন্দরীও তার সাথে বের হবে সাধের দুলাভাইকে দেখার জন্য। আরে ব্যাটি আমি পকেটে টাকা থাকলে রাজপুত্তুর আর না থাকলে বিকলাঙ্গের চেয়েও খারাপ। হঠাত্‍ মাথায় একটা দারুণ একটা আইডিয়া আসলো। তাকে বললাম, পাইছি সমাধ

বৈদেশিক ভালবাসা

কয়েকদিন যাবত্‍ প্রবালের সাথে আমার সম্পর্ক তেমন একটা ভাল যাচ্ছিল না। তাকে টাকা ধার দেই নি বলে আমার সাথে সে কী রাগ! যাক শেষ পর্যন্ত আমার প্রিয়তমার সহায়তা না পেলে এই ছাগলটার সাথে শত্রুতা বোদহয় থেকেই যেত। ঈদের দিন কয়েকবার ওর সাথে দেখা হলেও আমি অথবা ও নিজে কেউই কথা বলি নি। শেষে সন্ধ্যার দিকে আমিও বাসায় ঢুকছিলাম এমন সময় প্রবালও বের হচ্ছিল। আর কি করার অনেক দিনের বন্ধুত্ব তাই আমিই ঈদমোবারক বলে কোলাকুলি করলাম। বাসায় আসতে বলায় বেহায়ার মত চলেও আসলো। যাই হোক আম্মুকে বললাম কিছু বাসি নাস্তা থাকলে দেয়ার জন্য, আম্মু একেবারে রাজকীয় খাবার পরিবেশন করল ছাগলটার উদ্দেশ্যে। চোখ শরমে আমিও আম্মুকে আর কিছু বলতে পারলাম না। যা হোক প্রবালের সাথে বসে ভাববাচ্য ব্যবহার করে কথা শুরু করলাম। কিছুক্ষণের মাঝে এই কথা পুরোপুরি আড্ডায় রূপ নিল। আমিও সবকিছু ভুলে ছাগলটার সাথে ম্যা ম্যা করতে লাগলাম। ইতিমধ্যে আমার প্রিয়তমা ফোন দিল। আমার বলতে হল না, সেই বলল তোমার সাথে এখন প্রবাল বসে আছে তাই না? আমি এমন ভাব ধরলাম যেন তার জানাটাই স্বাভাবিক। কিছুক্ষণ কথা বলার পর তার মোবাইলের ব্যালান্স শেষ হয়ে গেল। অগত্যা আমাকেই ফোন দিতে হল।

ইচ্ছে যন্ত্রণা -তুচ্ছ

পৃথিবীর সকল যন্ত্রণা সহ্য করছি, জানি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, কখন এই যন্ত্রণা শেষ হবে। কিন্তু এও জানি অপেক্ষাই সার, আমি ভালোবাসতে জানি, তবে আমায় ভালোবাসে না, সেই ঘৃণ্য ভালোবাসা। দেয়ালে ঠুকে মাথা ফাটিয়ে ফেলতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু দেয়াল আমায় কাছে টানে না। কি অসহ্য যন্ত্রণা! মনুষ্য দেয়াল ভেদ করে আমি, পেরিয়ে গেছি এক টুকরো পিঙ্গল বর্ণের ধূমকেতু। আমাকে টেনে নাও, তোমাদের মাঝে আমি একজন তোমাদেরই মত হিংসুটে হয়ে বেঁচে থাকতে চাই। আমি চাই আমার প্রিয়া আমার ব্যবহার দেখে হতবিহ্বল হয়ে যাক!হার দেখে হতবিহ্বল হয়ে যাক!

ভূল শুক্রানু -তুচ্ছ

শুক্রানু থেকে আজ অবদি কত কি না ঘটে গেল। কখনও মনে হয়নি ভ্রান্তিতে ভরা এ জীবন! আজ যখন দীনপঞ্জিকা দেখলাম, তখনি সেই থেকে এই ক্ষণ পর্যন্ত সবকিছুই ভূল হয়ে ধরা দিতে লাগল। ধরনীতে আগমন ভূল, বসতে শিখায় ভূল, দাড়ানোতেও! হাটতে শিখার পর প্রায় সবাই বলতো, এমন করে হাটা কেন? চিন্তা-চেতনা সকলই ভূল। ভূলে ভরা কথার ঝুড়িও। ভূল করে ভূল চিন্তা খেলা করে, এই যে সবই ভূল ভাবছি, ভাবাটাও কি ভূল নয়! কি যন্ত্রনায় আছি! নাকি এই যন্ত্রনাও ভূল? প্রেয়সী ভূল, ষোড়শী ভূল। শেষে দেখি এই ভূল বানানেও ভূল। পার্থিব ভূল, অপার্থিব ভূল। ঐ গলানো পীচের রাস্তা ভূল, কাটা বটগাছের গুড়িতে ভূল, হিংসায় ভূল, আত্মাহংকারে ভূল। কষ্টে? সেতো ভূলেরই মাশূল। বইয়ের সাদা পৃষ্ঠায় ভূল, হিংস্র প্রাণীর চিত্‍কারে ভূল। সর্বশেষ ভাবনাটাও ভূল।্‍কারে ভূল। সর্বশেষ ভাবনাটাও ভূল।

একজন পূণ্যবান পাপী

মাইকেল এঞ্জেলো একবার চিন্তা করলো তার অংকনে নতুনত্ব আনবে। তাই এর জন্য তাকে নতুন কিছু আঁকতে হবে। অনেক চিন্তা ভাবনার পর সে ভেবে দেখলো যিশুর নির্মল মুখাবয়বের ছবি আঁকবে। তো অনেক খোজাখুজির পর এক লোককে পেল যার চেহারায় নির্মলতা চুইয়ে চুইয়ে পরে। তাকে মডেল হতে বলাতে সে সানন্দে রাজী হয়ে গেল। এই চিত্র অংকণ করে এঞ্জেলো সমস্ত বিশ্বের কাছে আরেকবার নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করলো। এর ১২ বত্‍সর পর সে আবার চিন্তা করলো নতুন কিছু একটা অংকন করতে হবে। এবার সে সিদ্ধান্ত নিল জুডাসের হিংস্র মুখের ছবি আঁকবে। রাস্তায় রাস্তায় ঘুড়তে লাগল মডেলের খুজে। কিন্তু কাউকেই তার পছন্দ হয় না। শেষে যখন একেবারে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলো এমন সময় দেখল এক কুচ্ছিত লোক জেল থেকে বের হয়ে আসছে, যার চেহারা দেখে তিনি নিজেও ভয় পেয়ে গেলেন। যাক শেষ পর্যন্ত ঐ লোকের কাছে গিয়ে তার ছবির মডেল হওয়ার জন্য অনুরোধ করল। লোকটি তার কথা শুনে মুচকী হেসে রাজী হয়ে গেল। এঞ্জেলোর আঁকা যখন প্রায় শেষের দিকে এমন সময় লক্ষ্য করল মডেল জুডাসের বা শয়তানের চোখ থেকে কান্না গড়িয়ে পড়ছে। অবাক হয়ে তিনি এর কারণ জানতে চাইলে সে বলল, ১২ বত্‍সর আগে আমি এই জায়গায় বসে যিশুর