Skip to main content

বৈদেশিক ভালবাসা ২য় পর্ব

ঐ ছাগলা ব্যাটায় শেষ পর্যন্ত আমাকে মোবাইল ফকির কইরা এর পর ছাড়লো। মনে মনে ১০০১ টা গালি দিয়েও শান্তি পাইলাম না। কি আর করা, নিজের পালিত ছাগলকে তো আর ঘাস খাওয়ার দায়ে জেলে ঢুকানো যায় না। এরপর রাতে অনেকক্ষণ বাইরে দুজনে আড্ডা দিলাম। ফেলে আসা দিনের স্মৃতি রোমন্থন করে কিছু মিছি মিছি চোখের জল ত্যাগ করলাম। রাতে আমার প্রিয়তমাকে ফোন দিয়ে জানতে চাইলাম, পরদিন কখন বের হবে। যা উত্তর দিল তাতে আমার কলিজা মাংসপিন্ডে পরিণত হওয়ার মত অবস্থা। তার সাথে নাকী তার এক কাজিনও যাবে। অনেক কষ্ট করে ৫০০ টাকা আম্মুর কাছে রেখেছিলাম যাতে আমাদের স্বর্গ ভ্রমণ কিছুটা হলেও নিশ্চিন্তে কাটে, আর ঐ টাকার পিছনে আগুন ধরাতে এখন আবার এক শালীরও আগমন ঘটছে দেখছি। যাই হোক অনেক করে বুঝাতে চাইলাম তাকে নিয়ে গেলে আমাদের কি কি অসুবিধা হতে পারে। কিন্তু সাধের প্রিয়তমা কিছুতেই বুঝতে চায় না আমার মত একজন নিষ্পাপ ছেলের কাকুতি। সে বের হলে নাকী ঐ কমলা সুন্দরীও তার সাথে বের হবে সাধের দুলাভাইকে দেখার জন্য। আরে ব্যাটি আমি পকেটে টাকা থাকলে রাজপুত্তুর আর না থাকলে বিকলাঙ্গের চেয়েও খারাপ। হঠাত্‍ মাথায় একটা দারুণ একটা আইডিয়া আসলো। তাকে বললাম, পাইছি সমাধান। কিন্তু বরাবরের মত এবারও আমাকে ছাগল বানিয়ে সেই বলে দিলঃ কি প্রবালকে সাথে নিবে নাকী? ভাগ্যটা ভাল ঐরাতে আনন্দে চিত্‍কার দিয়ে উঠি নি। ঐ প্রবাল ছাগলটাকে সাথে নিলে আমার কিছু টাকা বেচে যাবে এই আশায় ব্যাটাকে নেয়ার চিন্তা মাথায় আসছে, নাইলে প্রিয়তমার হাত একহাতে আরেক হাতে ছাগলের দড়ি ধরে হাটার মত মদন এখনও হইনি। যাক শেষ পর্যন্ত সবকিছু ঠিক হল। আপাতত নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমের সমুদ্রে ডুব মারলাম।শেষ পর্যন্ত আমাকে মোবাইল ফকির কইরা এর পর ছাড়লো। মনে মনে ১০০১ টা গালি দিয়েও শান্তি পাইলাম না। কি আর করা, নিজের পালিত ছাগলকে তো আর ঘাস খাওয়ার দায়ে জেলে ঢুকানো যায় না। এরপর রাতে অনেকক্ষণ বাইরে দুজনে আড্ডা দিলাম। ফেলে আসা দিনের স্মৃতি রোমন্থন করে কিছু মিছি মিছি চোখের জল ত্যাগ করলাম। রাতে আমার প্রিয়তমাকে ফোন দিয়ে জানতে চাইলাম, পরদিন কখন বের হবে। যা উত্তর দিল তাতে আমার কলিজা মাংসপিন্ডে পরিণত হওয়ার মত অবস্থা। তার সাথে নাকী তার এক কাজিনও যাবে। অনেক কষ্ট করে ৫০০ টাকা আম্মুর কাছে রেখেছিলাম যাতে আমাদের স্বর্গ ভ্রমণ কিছুটা হলেও নিশ্চিন্তে কাটে, আর ঐ টাকার পিছনে আগুন ধরাতে এখন আবার এক শালীরও আগমন ঘটছে দেখছি। যাই হোক অনেক করে বুঝাতে চাইলাম তাকে নিয়ে গেলে আমাদের কি কি অসুবিধা হতে পারে। কিন্তু সাধের প্রিয়তমা কিছুতেই বুঝতে চায় না আমার মত একজন নিষ্পাপ ছেলের কাকুতি। সে বের হলে নাকী ঐ কমলা সুন্দরীও তার সাথে বের হবে সাধের দুলাভাইকে দেখার জন্য। আরে ব্যাটি আমি পকেটে টাকা থাকলে রাজপুত্তুর আর না থাকলে বিকলাঙ্গের চেয়েও খারাপ। হঠাত্‍ মাথায় একটা দারুণ একটা আইডিয়া আসলো। তাকে বললাম, পাইছি সমাধান। কিন্তু বরাবরের মত এবারও আমাকে ছাগল বানিয়ে সেই বলে দিলঃ কি প্রবালকে সাথে নিবে নাকী? ভাগ্যটা ভাল ঐরাতে আনন্দে চিত্‍কার দিয়ে উঠি নি। ঐ প্রবাল ছাগলটাকে সাথে নিলে আমার কিছু টাকা বেচে যাবে এই আশায় ব্যাটাকে নেয়ার চিন্তা মাথায় আসছে, নাইলে প্রিয়তমার হাত একহাতে আরেক হাতে ছাগলের দড়ি ধরে হাটার মত মদন এখনও হইনি। যাক শেষ পর্যন্ত সবকিছু ঠিক হল। আপাতত নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমের সমুদ্রে ডুব মারলাম।

Comments

গুরুপাপ

স্বার্থপরতা

মানুষ বড়ই আজিব প্রাণী। আসলে মানুষ যে কী জানে না, তাই জানে না। আবার কী জানে তাও জানে না। কিন্তু ভাবতে গেলে দেখা যাবে, সে অনেক কিছুই জানে। একই সাথে কোন কিছুই জানে না। যেমন এই কথাগুলো কেন লিখছি আমি নিজেও তা জানি না। আসলে আমার মনটা কিছুদিন যাবত্‍ খুব খারাপ যাচ্ছে। এই কয়েকদিন আমি আমার সম্পর্কে যা যা চিন্তা করেছি, তা যদি কোন ভাবে লিপিবদ্ধ করতে পারতাম, তাহলে হয়তো আমার স্বভাব বা প্রকৃতি সম্পর্কে একটা সঠিক ধারণা আমি নিজে পেতাম। আজকাল নিজেকেও বড় অচেনা লাগে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি আমার চিন্তা ভাবনাগুলো লিপিবদ্ধ করতে পারি না। কারণ আমার মন যেভাবে চিন্তা করে, হাত সেভাবে চলে না। যদি মনের ছায়া হাতের মাধ্যমে ফেলা যেত, তাহলে মানুষ আজ এত দূরে এগিয়ে যেতে পারত, যা কেবল সায়েন্স ফিকসনেই সম্ভব। স্বার্থপরতা নিয়ে চিন্তা করছিলাম কিছুদিন যাবত্‍। এই বিষয় নিয়ে লেখতে শুরু করার কারণ হতে পারে, নিজেকে নিঃস্বার্থবান প্রমাণ করা। এবং এটাই সবচেয়ে বড় স্বার্থপরতা নয়? কিছু মনে করবেন না, আমি লেখার মাঝে আমার মনের ছায়া ফেলার চেষ্টা করছি। যদিও জানি বৃথা চেষ্টা। এটা কখনও পুরোপুরি সফল হবেনা। মানুষ কখনও স্বার্থপর হওয়া

একটি মেয়ের লেখা কিছু কবিতা।

১.পাখিরা আকাশে উড়ে নীচে পড়ে ছায়া প্রেম করে দূরে গেলে ভুলে যায় মায়া ২. ভাইয়া তুমি চাঁদের মত সূর্যের মত আলো কেমন করে লেখব চিঠি আমি যে খুব কালো ৩. চাঁদ সুন্দর ফুল সুন্দর আরও সুন্দর তুমি এই দুনিয়ায় দুটি প্রান তুমি আর আমি ৪.সামনে তোমার চাঁদের পাহাড় পিছনেতে আমি এবার বলো, কোনটা নিবে কোনটা বেশি দামী ৫. আম গাছে আম কদু গাছে কদু মেয়েদের বুকেই নাকী ছেলেদের মধু ৬. কোথায় রাখি এই উপহার সাত আকাশের তারা আর কিছু নেই আমার তো হৃদয়খানি ছাড়া ৭. কুটুম পাখি কুটুম পাখি তুমি কুটুম কার আমি বলি আমার কুটুম সে বলে তার আমার কাছে এলে তোমায় দেব খুশির চুম মজার মজার স্বপ্ন দেব দু চোখ ভরা ঘুম

হাজার বর্ষ আগে - জীবনানন্দ দাশ

সেই মেয়েটি এর থেকে নিকটতর হ’লো না : কেবল সে দূরের থেকে আমার দিকে একবার তাকালো আমি বুঝলাম চকিত হয়ে মাথা নোয়ালো সে কিন্তু তবুও তার তাকাবার প্রয়োজন – সপ্রতিভ হয়ে সাত-দিন আট-দিন ন-দিন দশ-দিন সপ্রতিভ হয়ে — সপ্রতিভ হয়ে সমস্ত চোখ দিয়ে আমাকে নির্দিষ্ট করে অপেক্ষা করে — অপেক্ষা ক’রে সেই মেয়েটি এর চেয়ে নিকটতর হ’লো না কারণ, আমাদের জীবন পাখিদের মতো নয় যদি হ’ত সেই মাঘের নীল আকাশে (আমি তাকে নিয়ে) একবার ধবলাটের সমুদ্রের দিকে চলতাম গাঙশালিখের মতো আমরা দু’টিতে আমি কোন এক পাখির জীবনের জন্য অপেক্ষা করছি তুমি কোন এক পাখির জীবনের জন্য অপেক্ষা করছো হয়তো হাজার হাজার বছর পরে মাঘের নীল আকাশে সমুদ্রের দিকে যখন উড়ে যাবো আমাদের মনে হবে হাজার হাজার বছর আগে আমরা এমন উড়ে যেতে চেয়েছিলাম।

হুমায়ুন আজাদের প্রবচন গুচ্ছ

মহামতি সলোমনের নাকি তিন শো পত্নী, আর সাত হাজার উপপত্নী ছিলো। আমার মাত্র একটি পত্নী। তবু সলোমনের চরিত্র সম্পর্কে কারো কোনো আপত্তি নেই, কিন্তু আমার চরিত্র নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। বাঙলার প্রধান ও গৌণ লেখকদের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে প্রধানেরা পশ্চিম থেকে প্রচুর ঋণ করেন, আর গৌণরা আবর্তিত হন নিজেদের মৌলিক মূর্খতার মধ্যে। বাঙালি মুসলমানের এক গোত্র মনে করে নজরুলই পৃথিবীর একমাত্র ও শেষ কবি। আদের আর কোনো কবির দরকার নেই। বাঙালি যখন সত্য কথা বলে তখন বুঝতে হবে পেছনে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য আছে। আধুনিক প্রচার মাধ্যমগুলো অসংখ্য শুয়োরবৎসকে মহামানবরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছে। অধিকাংশ রূপসীর হাসির শোভা মাংসপেশির কৃতিত্ব, হৃদয়ের কৃতিত্ব নয়। পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও। পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও। শৃঙ্খলপ্রিয় সিংহের থেকে স্বাধীন গাধা উত্তম। বাঙলায় তরুণ বাবরালিরা খেলারাম, বুড়ো বাবরালিরাভণ্ডরাম। প্রাক্তন বিদ্রোহীদের কবরে যখন স্মৃতিসৌধ মাথা তোলে, নতুন বিদ্রোহীরা তখন কারাগারে ঢোকে, ফাসিঁকাঠে ঝোলে। একনায়কেরা এখন গণতন্ত্রের স্তব করে, পুজিঁপতিরা ব্যস্ত থাকে সমাজ

ছেঁড়া নোঙ্গর -তুচ্ছ

একটা আঁধার চাই আঁধার নিকষ গাঢ় অন্ধকার থকথকে পিচ্ছিল আর নিঃস্বার্থবান আঁধার এই পটভূমিতে কালো অন্ধ পদরেখা মোর হেঁটে যাই গৃহ পথ পানে খুজে যাই সেই পুরোনো আঁধার আর না পাওয়া প্রিয়তমাকে দেয় সে জোর হাতছানি ডাকে মোরে তার কাছে ভেবে হই দিশেহারা মরীচিকা যদি হয় পাছে আবারও অতলে যাই তলায়ে যাই ভুলে তার পথ দেখেনু হৃদয় ভেঙ্গে মোর আজ হয়েছে তীক্ষ্ন ক্ষত ফিরিব আবার তাই বুঝি আমি ডুবেছি ভুলের সাগরে মন নৌকৌ আজি মেলিছে পাল ঘুণ ধরেছে ছেঁড়া নোঙ্গরে