শুক্রানু থেকে আজ অবদি কত কি না ঘটে গেল।
কখনও মনে হয়নি ভ্রান্তিতে ভরা এ জীবন!
আজ যখন দীনপঞ্জিকা দেখলাম, তখনি সেই থেকে এই ক্ষণ পর্যন্ত সবকিছুই ভূল হয়ে ধরা দিতে লাগল।
ধরনীতে আগমন ভূল,
বসতে শিখায় ভূল, দাড়ানোতেও!
হাটতে শিখার পর প্রায় সবাই বলতো,
এমন করে হাটা কেন?
চিন্তা-চেতনা সকলই ভূল।
ভূলে ভরা কথার ঝুড়িও।
ভূল করে ভূল চিন্তা খেলা করে,
এই যে সবই ভূল ভাবছি,
ভাবাটাও কি ভূল নয়!
কি যন্ত্রনায় আছি!
নাকি এই যন্ত্রনাও ভূল?
প্রেয়সী ভূল, ষোড়শী ভূল।
শেষে দেখি এই ভূল বানানেও ভূল।
পার্থিব ভূল, অপার্থিব ভূল।
ঐ গলানো পীচের রাস্তা ভূল,
কাটা বটগাছের গুড়িতে ভূল,
হিংসায় ভূল, আত্মাহংকারে ভূল।
কষ্টে? সেতো ভূলেরই মাশূল।
বইয়ের সাদা পৃষ্ঠায় ভূল,
হিংস্র প্রাণীর চিত্কারে ভূল।
সর্বশেষ ভাবনাটাও ভূল।্কারে ভূল।
সর্বশেষ ভাবনাটাও ভূল।
মানুষ বড়ই আজিব প্রাণী। আসলে মানুষ যে কী জানে না, তাই জানে না। আবার কী জানে তাও জানে না। কিন্তু ভাবতে গেলে দেখা যাবে, সে অনেক কিছুই জানে। একই সাথে কোন কিছুই জানে না। যেমন এই কথাগুলো কেন লিখছি আমি নিজেও তা জানি না। আসলে আমার মনটা কিছুদিন যাবত্ খুব খারাপ যাচ্ছে। এই কয়েকদিন আমি আমার সম্পর্কে যা যা চিন্তা করেছি, তা যদি কোন ভাবে লিপিবদ্ধ করতে পারতাম, তাহলে হয়তো আমার স্বভাব বা প্রকৃতি সম্পর্কে একটা সঠিক ধারণা আমি নিজে পেতাম। আজকাল নিজেকেও বড় অচেনা লাগে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি আমার চিন্তা ভাবনাগুলো লিপিবদ্ধ করতে পারি না। কারণ আমার মন যেভাবে চিন্তা করে, হাত সেভাবে চলে না। যদি মনের ছায়া হাতের মাধ্যমে ফেলা যেত, তাহলে মানুষ আজ এত দূরে এগিয়ে যেতে পারত, যা কেবল সায়েন্স ফিকসনেই সম্ভব। স্বার্থপরতা নিয়ে চিন্তা করছিলাম কিছুদিন যাবত্। এই বিষয় নিয়ে লেখতে শুরু করার কারণ হতে পারে, নিজেকে নিঃস্বার্থবান প্রমাণ করা। এবং এটাই সবচেয়ে বড় স্বার্থপরতা নয়? কিছু মনে করবেন না, আমি লেখার মাঝে আমার মনের ছায়া ফেলার চেষ্টা করছি। যদিও জানি বৃথা চেষ্টা। এটা কখনও পুরোপুরি সফল হবেনা। মানুষ কখনও স্বার্থপর হওয়া
Comments
Post a Comment